1. live@www.marshalmedia.online : মার্শাল মিডিয়া : মার্শাল মিডিয়া
  2. info@www.marshalmedia.online : মার্শাল মিডিয়া :
রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১০:৪৯ অপরাহ্ন

পানের দামে ধস, দিশেহারা খিদিরপুরের কৃষকরা — চোখের জলেই ভাসছে বরজ

প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

পানের দামে ধস, দিশেহারা খিদিরপুরের কৃষকরা — চোখের জলেই ভাসছে বরজ

মো. হিমেল মিয়া
মনোহরদী, নরসিংদী

নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এখনো ব্যাপক হারে পান চাষ হলেও এই চাষে নেই আর আগের মতো আনন্দ বা লাভ। কৃষকের ঘামে এই ফসল আজ আর ঘরে হাসি ফেরায় না, বরং নিয়ে এসেছে হতাশা আর লোকসানের বোঝা।

এলাকার অভিজ্ঞ পানচাষী আলমগীর মোল্লা বলেন,
“আগে যে পরিমাণ পান বিক্রি করতাম ৫ থেকে ৬ হাজার টাকায়, এখন সেই একই পরিমাণ পান বিক্রি করতে হচ্ছে মাত্র ১ হাজার টাকায়। তাও আবার অনেক সময় বেপারীরা নিতে চায় না—জোর করে তুলে দিতে হয়।”

তিনি জানান, রাতে ঘুম না দিয়ে কষ্ট করে পান বাজারে নিয়ে গেলেও ঠিক মতো দাম মেলে না।
“ফেরার পথে মনে হয়, নিজের উৎপাদিত ফসলের এই দেশে যেন কোনো মূল্যই নেই,”—আক্ষেপ করেন আলমগীর।

পান চাষের খরচও কম নয়। প্রতিদিন একজন শ্রমিককে দিতে হয় ৭০০ টাকা মজুরি, সঙ্গে এক বেলা খাবার। এছাড়া রয়েছে খৈল, সার, মাটি, বাঁশ, কীটনাশকসহ নানা খরচ। একদিকে কৃষি উপকরণের লাগামহীন দাম, অন্যদিকে পানের দরবিপর্যয়—দুইয়ের চাপে নাকানিচুবানি খাচ্ছেন পানচাষিরা।

আলমগীর মোল্লা বলেন,
“অনেকেই ঋণ করে বরজ তৈরি করেছেন। এখন সেই ঋণ শোধ তো দূরের কথা, প্রতিদিনের খরচই উঠছে না। এভাবে চললে পানচাষ টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়বে।”

তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন,
“আমরা করুণা চাই না, চাই আমাদের ফসলের ন্যায্য মূল্য। চাই একটি স্থিতিশীল বাজার ব্যবস্থা, চাই পান রপ্তানির সুযোগ। রাষ্ট্রের উচিত কৃষকের পাশে দাঁড়ানো।”

স্থানীয়দের আশঙ্কা, দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পান চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে কৃষকেরা। তখন শুধু বরজই শূন্য হবে না—শূন্য হবে এই অঞ্চলের কৃষি প্রাণশক্তিও।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট